ঢাকা , রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩০ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

মাধবপুরে যুবলীগ নেতার পকেটে সরকারি বালু নিলামের ৬০ লাখ


আপডেট সময় : ২০২৫-০৯-১৪ ২০:৩৭:৫৫
মাধবপুরে যুবলীগ নেতার পকেটে সরকারি বালু নিলামের ৬০ লাখ মাধবপুরে যুবলীগ নেতার পকেটে সরকারি বালু নিলামের ৬০ লাখ
 
লিটন পাঠান, হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: 
 
হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি হেলাল মিয়া ও স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী মো. শাহ আলমের বিরুদ্ধে নিলামে সরকারি বালু বিক্রির ৬০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ওই প্রকৌশলী অবসরে যাওয়ার সময় নিলামের কাগজপত্র দপ্তরে রেখে যায়নি মর্মে এলজিইডি লিখিতভাবে নিশ্চিত করেছেন।

এলজিইডি সূত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলার এই নদীর পাড় থেকে অবৈধভাবে উত্তোলিত ১ লাখ ঘনফুট সিলিকা বালু স্থানীয় প্রশাসন জব্দ করেছিল। হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ২০২৩ সালের ৩ জানুয়ারি সেই বালু নিলামের জন্য অনুমোদন দেন। ৯মার্চ নিলাম কমিটির আহ্বায়ক হন তৎকালীন মাধবপুর উপজেলার প্রকৌশলী
 
(এলজিইডি) মো. শাহ আলম বালু ৩টি অংশে বিভক্ত করে নিলামে বিক্রয় করা হয়। মহব্বতপুর বাচ্চু মিয়ার বাড়ি থেকে ইউনুস আলীর বাড়ি পর্যন্ত ৯টি স্তুপ পায় ছাত্রলীগ নেতা মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজ, মঙ্গলপুর মৌজার দশটি স্তুপ পান মেসার্স পারভেজ চৌধুরী এবং জিন্নাত আলীর বাড়ি থেকে নিজামুদ্দিনের বাড়ি পর্যন্ত ৮টি স্তুপ পায় যুবলীগ নেতা হেলাল মিয়া। পরে শান্ত এন্টারপ্রাইজ ও পারভেজ চৌধুরী নিলামের টাকা সরকারি কোষাগরের জমা দিলে ৯ মে কার্যাদেশ প্রাপ্ত হয়। কিন্তু হেলাল মিয়া ২ নং প্যাকেজের ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার সঙ্গে ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১০ শতাংশ আয় করসহ ৮৩ লাখ ১২ হাজার ৫শত টাকার মধ্যে মাত্র ২৩ লাখ টাকা জমা দেয়। বাকি ৬০ লাখ ১২ হাজার ৫ শত টাকা জমা না দিয়ে
 
হেলাল মিয়া ও প্রকৌশলী শাহ আলম যোগসাজস করে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে বেশি সময় ধরে বালু উত্তোলন ও বিক্রি করে রাজস্বের টাকা ভাগাভাগি করেছেন। এদিকে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় নিলামের নতুন চাওয়ার পর বর্তমান উপজেলা প্রকৌশলী রেজা উন নবী লিখিতভাবে জানিয়েছেন তৎকালীন উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম নিজ হেফাজতে নথি রাখলেও চলে যাওয়ার সময় জানিয়ে দেন অফিসে আর কোন নথি নেই। এজন্য চাহিদা মত তথ্য দেওয়া সম্ভব হলো না। নিলাম কমিটির আহ্বায়ক শাহ আলম চাকরি শেষে অবসরে চলে গেছেন। তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, হেলাল মিয়া পুরো টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেয়নি তাই তাকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়নি।
 
এ জন্য বালু বিক্রির অনুমতি তিনি পাননি তবে বালু বিক্রয় হয়ে থাকলে এর দায়ভার উপজেলা প্রশাসনের। বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ বিন কাসেম জানান, এ ঘটনা সময় আমি এখানে দায়িত্বে ছিলাম না। তাই এ বিষয়ে অবগত নই। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এব্যাপারে যুবলীগ নেতা হেলাল মিয়ার মোবাইল নাম্বারে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায় 


 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Banglar Alo News Admin

কমেন্ট বক্স

প্রতিবেদকের তথ্য

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ